Google search engine

আমাদের এজেন্ডা বাংলাদেশের এজেন্ডা : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমাদের এজেন্ডা বাংলাদেশের এজেন্ডা। ১৮ কোটি বাংলাদেশির এজেন্ডা। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমাদের এজেন্ডা। এর বাইরে আমাদের কোনো এজেন্ডা নাই।

আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমি দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি পাইনি, যে সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়নি। সবাই সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে সবাই সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চেয়েছে।

সিইসি বলেন, বাংলাদেশ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। যদি এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হয় তাহলে যারা আহত ও শহীদ হলো তাদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়া এখন আর শুধু অধিকার নয়, এটা একটা দায়িত্বও। আমাদের ওপরে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। অন্য কোনো ইসির ওপর এতো প্রত্যাশ ছিলো না।

এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ২ মার্চ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে হয়। এর মধ্যে আমাদের আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হচ্ছে। এ জন্য জুনের মধ্যে আরেকটা ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে। সারা দিন-রাত ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ করছে ইসির কর্মকর্তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যারা যার দৃষ্টিকোন থেকে বক্তব্য দেবে, এটা ভিন্ন ভিন্ন হবে, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমাদের এখানে অনেকে আছে যারা মনে করে আমার দলই দেশপ্রেমিক আর কোনও দল নয়। এট ঠিক না। মানুষ কিন্তু জন্মগতভাবেই দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেমটা কারও মনোপলি নয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে কম বেশি হয়।

বন্ধুর কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দোয়া চেয়েছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, সে আমাকে বলেছে প্রতিটা কাজ আল্লাহ তাআলার জন্য করতে হবে অন্য কারও জন্য করা যাবে না। এট আমার এক বন্ধুর পরামর্শ।

এ এম এম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ভোট সন্ত্রাস করে আপাতদৃষ্টিতে জয় পাওয়া যায়। কিন্তু আখেরে নিজের দল, কারও জন্য ভালো হয় না। এজন্য আমি বলতে চাই কেউ এ ধরনের কাজ করবেন না।

একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, অনেক দিন ধরে ভোটার দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন করে আসছে। কিন্তু শআহত কোনও ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন কি-না তা জানা নাই।

এ কমিশনার আরও বলেন, জনগণের অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের শাসক নির্বাচন করে। ভোটারদের মতামত তখনই প্রতিফলন হবে, যদি ভোটার সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, আমরা চারিদিকে দেখছি সংস্কার আর সংস্কার। ইসির কি সংস্কার হবে না? আমি চাই খোলা মাঠে নির্বাচনটা হোক। স্কুলের খোলা মাঠে নির্বাচন করতে কি পারবো না? তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বললে তারা বলে এটা সম্ভব না। আপনারা সহযোগীতা করলে নির্বাচন খোলা মাঠে করব। প্রথমে এটা পাগলামি মনে হতে পারে। কিন্তু আপনারা সহযোগিতা করলে এটা করা সম্ভব।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আজকের যে ভোটার দিবস তা একটু ভিন্ন রকম। অতীতের ভোটার দিবসে ভোটাধিকার আদায়ের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে, আহত হয়েছে তাদের জন্য দোয়া চাওয়া হয়নি। কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এর দায় ইসিকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।

মো.আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব কিন্তু মচকাবো না। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সামজিকভাবে বিশ্বাস অর্জনের জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করতে হবে। প্রথম পরীক্ষায় হবে আমাদের একটা ভালো নির্বাচন করা।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগে. জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আজকের ভোটার দিবস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ। ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কোনও কিছু করা সম্ভব নয়।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনের আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে সহযোগিতা পেয়েছে, আমরা মাঠ প্রশাসন থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করছে এবং করবেন। এটা যদি আমরা স্বরণ না করি তাহলে কৃপণতা হবে, আমি কৃপণ নয়।

মিডিয়ার উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, আমদের সাথেই থাকুন এবং এগিয়ে যেতে সহোযোগিতা করুন।

অতিরিক্ত সবিচ এ কে আলী নেওয়াজ বলেন, ভোটার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সবার জায়গা থেকে সচেতন থাকব, যাতে নাগরিকদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়াসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়।

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ