Google search engine

জাতিসঙ্ঘে কোরআন অবমাননা প্রস্তাব : বাংলাদেশসহ ২৮ দেশ ভোট দিয়েছে পক্ষে

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে (ইউএনএইচআরসি) ধর্মীয় বিদ্বেষবিষয়ক একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রেক্ষাপটে এ প্রস্তাব পাস হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ কয়েকটি দেশের বিরোধিতার মুখেও প্রস্তাবটি পাস হয়।

বুধবার পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে র্ধ্মীয় বিদ্বেষ প্রশ্নে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের অনুরোধ করা হয়। ৫৭ জাতির ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে পাকিস্তান প্রস্তাবটি উত্থাপন করে।

পাকিস্তান, ইরান ও ওআইসিভুক্ত দেশগুলো ঈদুল আজহার দিন সুইডেনে এক ইরাকি অভিবাসীর স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থায় বিতর্ক আয়োজনের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি মঙ্গলবার ভিডিওর মাধ্যমে জেনেভাভিত্তিক কাউন্সিলের বলেন যে “আমরা স্পষ্টভাবে যা দেখতে পাচ্ছি তা হলো : ধর্মীয় বিদ্বেষের প্রতি উস্কানি, বৈষম্য এবং সহিসংতা সৃষ্টির জন্য প্ররোচনার চেষ্টা।’

তিনি বলেন, এসব কাজ হচ্ছে ‘সরকারের অনুমোদনে এবং দায়মুক্তির অনুভূতি নিয়ে।’ বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন ইরান, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রীরা।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার থামান। নীরবতা মানে দুষ্কর্মে সহযোগিতা করা।’

সুইডিশ সরকার কোরআন পোড়ানোকে ‘ইসলামফোবিক’ হিসেবে উল্লেখ করলেও জানায় যে তার দেশে ‘সমবেশ করা, মত প্রকাশ করা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত।’

মঙ্গলবার ফরাসি রাষ্ট্রদূত জেরোমি বোনাফন্ট বলেন, মানবাধিকার ‘মানুষকে রক্ষা করে- কোনো ধর্ম, মতবাদ, বিশ্বাস বা প্রতীককে নয়। জাতিসঙ্ঘ বা কোনো রাষ্ট্র কোনটি পবিত্র তা নির্ধারণ করতে পারে না।’

ধর্মীয় বিদ্বেষবিষয়ক প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেহসহ ২৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ১২টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ৭টি দেশ।

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ