ভারত-বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে দু’দিন হল। কিন্তু এখনো আলোচনায় ভারত বনাম বাংলাদেশ নারী দলের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। আলোচনায় রেখেছেন হারমানপ্রীত। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে এখনো তেঁতিয়ে আছে ক্রিকেট বিশ্ব। নিজেদের দেশ থেকেও এমন আচরণে সমর্থন পাচ্ছেন না ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার মদন লাল হারমানপ্রীতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত গত শনিবার ভুলে বসেন যে “ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা”। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মাঠে ক্ষোভ ঝাড়েন খুব দৃষ্টিকটুভাবে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে। এমনকি ম্যাচ শেষেও আম্পায়ারদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করেন। ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য ছুড়ে দেন।
ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। তবে ভারতীয় অধিনায়ক তাতে টেনে আনলেন বাংলাদেশকেও। খেলা চলাকালীন তো বটেই, খেলা শেষেও বিদ্রুপ করলেন বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের। এমনকি ‘বাংলাদেশ’ নিয়েও করেছেন অপমানজনক মন্তব্য।
আম্পায়ারদের অভিযোগে যদিও ম্যাচ রেফারি এমন আচরণের শাস্তি দিয়েছেন। চার ডিমেরিট পয়েন্টের সাথে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা দিয়েছেন। তবে এমন শাস্তিতে সন্তুষ্ট নয় ভারতের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। হারমানপ্রীতের আরো কঠোর শাস্তি চান তারা।
মদন লাল হারমানপ্রীতের আচরণকে ‘পীড়াদায়ক’ আখ্যা দিয়ে এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশ মেয়েদের বিপক্ষে হারমানপ্রীতের আচরণ ছিল পীড়াদায়ক। সে খেলার চেয়ে বড় নয়। ভারতের ক্রিকেটের জন্য সে দুর্নাম বয়ে এনেছে। ওর বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে ম্যাচের সময় ও ম্যাচের পরে হারমানপ্রীত যে সব আচরণ করেছেন, তার সমালোচনা করেছেন দলটির সাবেক অধিনায়ক আনজুম চোপড়াও।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আনজুম চোপড়া বলেন, ‘রাগ কমার পর সে যখন শান্ত হবে, আমি নিশ্চিত, অসন্তুষ্টি প্রকাশে যে ওর আরো সচেতন হওয়া দরকার, সেটা নিজেই বুঝবে। অসন্তুষ্টি প্রকাশে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু কিভাবে আর কখন করবে, সেটা দেখতে হবে। কথা বলার সময় শব্দচয়নে ওর আরো যত্নশীল হওয়া উচিত।’
শুধু ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা নয়, অনেক ভারতীয় সমর্থকরাও হারমানপ্রীতের এমন অভব্য আচরণের বড় শাস্তি চান।