Google search engine

কাপ্তাই হ্রদে জেলেদের বাজিমাৎ

কাপ্তাই হ্রদে প্রথম দিনেই বাজিমাৎ জেলেরা। জালে মাছ আর মাছ। এ যেন হতাশার মধ্যে মুখে আনন্দের হাসি। মাছ নিয়ে ফিরে জেলেদের হাঁকডাকে গমগম করছে ঘাট। রাতভর আহরণকৃত মাছে ভরপুর ঘাটের চারদিক।

জেলেরা জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনের খেওয়ায় চল্লিশ হাজার কেজি মাছ কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরণ করেছে জেলেরা।

দেখা গেছে, আহরণকৃত মাছের মধ্যে কাচকি, চাপিলা ছিল সবচেয়ে বেশি। দেখা যায়নি কার্ব জাতীয় মাছ। শ্রমিকেরা বরফ ভাঙছে। আহরণ করা মাছ সরকারি রাজস্ব মিটিয়ে ড্রামে প্যাকিং শেষে ট্রাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ যেন চিরচেনা রুপ।

ব্যবসায়ী তারেক মাসুদ বলেন, প্রচুর মাছ আসছে ঘাটে, কিন্তু মাছের আকার ছোট। এই মাছ বিক্রি করা কঠিন হবে।,

তথ্যমতে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ২০ এপ্রিল থেকে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে পানি কম থাকায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয় আরও দুই দফায়।

এদিকে প্রথম দিনের শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪০,০০০ কেজি (৪০ মেট্রিক টন) মাছ আহরণ হয়েছে। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ৮ লাখ টাকার কিছু বেশি। গত বছর জেলার চারটি অবতরণ কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫০৪ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বিএফডিসির আশা, গত বছরের চেয়ে এবারও রাজস্ব আহরণ বেশি হবে।

মাছ ব্যবসায়ী মাহফুজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবসা শুরু করলেও হ্রদে পানির বেশি থাকায় মাছের পরিমাণ কম এবং আকারও কিছুটা ছোট। আমার আশা করছি আগামীতে আরও বেশি মাছ পাবো।

বিএফডিসি রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, প্রথমদিনের মতো এভাবে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে গত বছরের চেয়ে রাজস্ব আয় বেশি হবে বলে আমরা আশাবাদী। প্রথম দিকে জালে ছোট মাছ বেশি আসে। কয়েকদিন পর এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। হতাশ হওয়ার কিছুই নেই।

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ