সামনে লড়াই, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। আগামী নির্বাচনেও নৌকা আবারও জিতবে। আপনারা শুধু ঐক্যবদ্ধ থাকেন। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে পরাজিত করতে পারবে নf; বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দাবি একটাই, শেখ হাসিনাকে হঠাতে হবে। কোন দুঃখে? কেন পদত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা? কোনো দেশের নির্বাচনী নীতিতে এটা আছে?
০২ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন পরবর্তী সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চোরা তারেক, মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছিল। তাদের লুটপাট আর দুর্নীতির ক্ষত এখনো বাংলাদেশ বয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দিয়েছেন উন্নয়নের গতিপথ। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ১০০ সেতু। সামনে আরও ১৫০ সেতুর উদ্বোধন হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, তাদের কোনো নেতা নেই। সামনের দিনে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা তারা জানেন না। আমরা বলে দিতে চাই আমাদের নেতা শেখ হাসিনা আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী। আজকের সমাবেশ থেকেই তা ঘোষণা করলাম।
স্যাংশনের আশায় থেকে ক্ষমতায় যেতে পারবেন না উল্লেখ করে বিরোধী দলের প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিয়েরালিওনে নাকি ভিসা স্যাংশন দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির নেতাদের মধ্যে উল্লাস। কিন্তু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি কেন প্রয়োগ হবে না। তারাইতো অপরাধী। আমাদের নেতা বলে দিয়েছেন আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। তাই আমাদের সিয়েরালিওনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অংশ নিয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন।