Google search engine

কাপ্তাই লেকের পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকের পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে হোটেলও। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাপ্তাই লেকের পানি। অন্যদিকে পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে বিলাইছড়ি কিংবা রাঙ্গামাটি সদরের সঙ্গে নৌচলাচল একদম স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন পুরোদমে কাপ্তাই লেকে লঞ্চ কিংবা ইঞ্জিনচালিত বোটগুলো চলছে।

১৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ১০৭ দশমিক ৫৫ এমএসএল (মিনসি ল্যাভেল) পানি রয়েছে বলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম থেকে জানিয়েছে । যেখানে বছরের এই সময়ে পানি থাকার প্রায় ১০২ এমএসএল।

তবে পানি ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পানির লেভেল বিপৎসীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত পানি ছাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে নিশ্চিত করেছে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সুত্র জানায়, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেটিঘাটের নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। এমনকি জেটিঘাটের পার্শ্ববর্তী গ্রীন রিভার ভিউ হোটেলসহ বেশ কিছু দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে আরও কিছু এলাকায় পানি ঢুকে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে গ্রীন রিভার ভিউ হোটেলের পরিচালক মো. মুছা সওদাগর জানান, লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমার প্রতিষ্ঠানের সামনের অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে হোটেল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। অনেক পর্যটক ফোন দিলেও তাদের বুকিং ক্যানসেল করে দিয়েছি। এতে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকার বাসিন্দা রহমান আলী জানান, কাপ্তাই লেকে গত ১ মাস আগেও পানি স্বল্পতায় নৌ চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে লেকে পানির পরিমাণ বেড়ে গেছে এবং বর্তমানে যে হারে পানি বাড়ছে এতে কাপ্তাই বাঁধের গেইট খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাবিনা আক্তার বলেন, এরইমধ্যে কাপ্তাই লেকের বেশ কিছু নিচু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে এবং জেটিঘাটেও আস্তে আস্তে পানির পরিমাণ বাড়ছে। যেকোনো সময় বসতবাড়ি প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

কাপ্তাই জেটিঘাটে পল্টুনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা শীতল সরকার জানান, কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এখন পুরোদমে কাপ্তাই লেকে লঞ্চ কিংবা ইঞ্জিনচালিত বোটগুলো চলছে। তবে পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি অনেকটা চিন্তার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ