Google search engine

থেমে নেই পাহাড় কাটা, গড়ছে অবৈধ বসতি

পাহাড় কাটা থেমে নেই। গড়ে ওঠছে অবৈধ বসতি। এর নেপথ্যে কাজ করেছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানউন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পে উত্তর পাহাড়তলীর লেকসিটি আবাসিকের পূর্ব পাশে গড়ে ওঠেছে প্রায় ২৬শ’ পরিবারের বসতি। গতবছর ওই এলাকায় পাহাড়ধসে দুই সহদোরের মৃত্যু হলেও থামেনি সেখানে বসতি স্থাপন। প্রকল্পটির কারণে সেখানে হয়েছে রাস্তা, আছে বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধা। রেলওয়ের পাহাড়গুলো দখল ও কাটার পর জানে না পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

সরেজমিনে দেখা যায়, লেকসিটির পূর্বে ও কনকর্ড সি-ওয়ার্ল্ডের উত্তরের সোজা একটি রাস্তা চলে গেছে। কিছুদূর যেতেই স্বাগতম জানালো বিজয়নগর ছড়ারপাড় সিডিসির ভিত্তিপ্রস্তর। পাহাড় কেটে ওখানে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। রাস্তাটি পূর্ব দিকে গিয়ে দক্ষিণে, আবার পূর্বে চলে গেছে। এখানে প্রতিটি ধাপে ধাপে গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়ি। সেখানে দখলস্বত্বে জায়গা নিয়ে তারা বাড়ি গড়ছে, ভাড়াবাসায় থাকছে নি¤œআয়ের মানুষ। তাদের বসতিতে রয়েছে বৈদ্যুতিক মিটার ও পানির সংযোগ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজয়নগর এলাকায় আনুমানিক সাতশত পরিবার থাকে। এর ঠিক উত্তর পাশে জিয়া নগর, এরপরে মুজিব নগর। জিয়া নগরে রয়েছে আনুমানিক ১২ শত পরিবার ও মুজিব নগরে রয়েছে ৮ শতের বেশি পরিবার। বসতিগুলো প্রায় ২০ বছর আগে কনকর্ডের সি-ওয়ার্ল্ডে থাকতো। পরে কনকর্ড রেলওয়ের জায়গা ইজারা নেওয়ায় সেখান থেকে উচ্ছেদ করে বর্তমান বিজয়নগরের পাশের একটি জায়গায় তাদের পুনর্বাসন করে।

এ প্রসঙ্গে কনকর্ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘এটা অনেক আগের বিষয়। আমার কাছে সঠিক তথ্য নেই। তবে কিছুটা জানি, রেল থেকে জায়গা লিজ (ইজারা) নেওয়ার পর ওখানে যখন সি ওয়ার্ল্ড করা হচ্ছিলো, তখন সেখানে যারা থাকতো তাদের একটা জায়গায় থাকতে দেওয়া হয়েছিলো। এ বিষয়টি হয়েতো রেলওয়ে ভালো জানবে। কেননা এটি রেলওয়ের সাথে সমন্বয় করে করা হয়েছিলো। ওই সময় ওখানে পুনর্বাসন করা হয়েছিলো প্রায় ২৫০ পরিবারকে।’

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ