কক্সবাজারের টেকনাফে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪১টি গুলি ও ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা না গেলেও মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের দুটি মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোদারবিল এলাকার সাজেদের ভাড়া ঘর থেকে এসব অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
আসামিরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকার আবু সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তর লম্বরীর হোছন আহমদের ছেলে কাদের, পশ্চিম গোদারবিলের ইমাম হোসেনের ছেলে শাহেদ প্রকাশ সাজেদ, তার ভাই মো. শাহ আলম, দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের হোছন আহমদের ছেলে সাদ্দাম, বশির আহমদের ছেলে আনোয়ার, গোদার বিলের কালা মিয়ার ছেলে মো. কাসিম।
অভিযানে এসব ইয়াবা ও অস্ত্র ছাড়াও হিরোইন সদৃশ্য ৭০০ গ্রাম এক ধরনের দ্রব্য পাওয়া যায় যা পরবর্তীতে ল্যাবে পরীক্ষার পর জানা যাবে সেগুলো কোন ধরনের মাদক, এমনটি জানিয়েছেন ডিএনসি।
রবিবার রাত ৯টায় ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্যাহ কাজল জানান, একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের কাছে অস্ত্র ও মাদক মজুদের গোপন সংবাদ ছিল ডিএনসির কাছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মুকুলের তত্ত্বাবধানে ও পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারির নেতৃত্বে একটি টীম অনুসন্ধান শেষে রবিবার বিকেলে গোদারবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১৪১টি গুলি, ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা ও ৭০০ গ্রাম মাদক সদৃশ দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
ডিএনসি কর্মকর্তা মো. জাফরুল্যাহ কাজল আরো জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মিয়ানমার থেকে আসতে পারে এমন ধারণা করা হচ্ছে। মাদক কারবারিরা এলাকায় মাদক কারবারের পাশাপাশি আধিপত্য বিস্তার করতে অস্ত্রগুলো মজুদ করছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে অস্ত্র ও মাদক মজুদে জড়িতদের আটক করা সম্ভব না হলেও আমরা তাদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আগ্নেয়াস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জড়িত সাতজনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মুকুল জানান, মাদকের মামলাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তদন্ত করলেও অস্ত্র মামলাটি তদন্ত করবে পুলিশ।