ইতিহাস, ঐতিহ্য, রেকর্ড—সব দিক থেকে নাপোলির চেয়ে যোজন এগিয়ে রিয়াল। এই দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬-১৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। শেষ ষোলোর ওই লড়াইয়ে দুই লেগেই ৩-১ গোলে জিতেছিল ১৪ বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। দারুণ ছন্দে আছে কার্লো আনচেলোত্তির দল।
মাদ্রিদ ডার্বি ছাড়া জিতেছে মৌসুমের বাকি সব কটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। অ্যাতলেতিকোর কাছে হারের ধাক্কা ভালোভাবে কাটিয়েও উঠেছে। ডার্বির পরের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে পাঁচবার বল পাঠিয়ে তারা হজম করেনি একটিও। রিয়ালের মসৃণ এই পথচলার অন্যতম কারিগর জুড বেলিংহাম।
কার্লো আনচেলোত্তির কণ্ঠে তাই প্রশংসা ঝরেছে,‘রিয়ালের সঙ্গে সে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। দারুণ করছে এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে।’
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সাত গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট আছে রিয়ালের নতুন ‘নাম্বার টেন’-এর। নেপলসের ম্যাচেও কার্লো আনচেলোত্তির দলের তুরুপের তাস এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। দুর্দান্ত ছন্দে আছেন নাপোলির ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওসিমহেনও।
আট ম্যাচে পাঁচ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট আছে একটি। ওদিকে চোট নিয়ে খানিকটা দুর্ভাবনাও আছে রিয়াল কোচের। এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না রক্ষণভাগের তারকা দাভিদ আলাবা।
মাঠে দুর্দান্ত সময় কাটছে বায়ার্নেরও। এ মৌসুমে কোনো ম্যাচ হারেনি টমাস টুখেলের দল। দলের নতুন তারকা হ্যারি কেইনও প্রতিনিয়ত চেনাচ্ছেন নিজের জাত। এই বায়ার্নের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচেও নিজ মাঠে হেরেছে রেড ডেভিলরা। ওই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে এরিক টেন হাগের দল কি পারবে গালাতাসারাইকে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিতে! ইএসপিএন