ইয়াবা পাচারে নিত্য নতুন কৌশলে অগ্রসর হচ্ছে পাচারকারিরা। কখনও গাড়ির টুল বক্সে, কখনও সিটের নিচে, কখনও সিলিন্ডারের ভেতর, কখনও চাকার ভেতর আবার কখনও গাড়ির সিলিংয়ের ভেতর। এবার সবকিছুঁ ছাপিয়ে খোজ গাড়ির ধোঁয়া নির্গম পাইপের (সাইলেন্সার পাইপ) ভেতর কোটি টাকা ইয়াবা পাচার রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
শুক্রবার (৬ অেক্টোবর) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন জবলে নূর জামে মসজিদ এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের সাইলেন্সার পাইপের ভিতর থেকে ৩২ হাজার ৬৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। গ্রেফতার করা হয়েছে মো.আনোয়ার হোসেন (৩২) নামের প্রাইভেট কার চলককে।
তিনি গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর থানার ভারারুল বটতলা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার ০৭ অক্টোবর র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আনোয়ার ড্রাইভিং পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত অভিনব পন্থা অবলম্বন করে ইয়াবা কক্সবাজার থেকে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং গাজীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার মাদক সেবনকারী, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, মাদক বিক্রেতারা কক্সবাজার থেকে একটি প্রাইভেটকার যোগে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে গাজীপুরের দিকে যাওয়ার গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জবলে নূর জামে মসজিদের বিপরীত পাশে চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করা হয়। এ সময় একটি প্রাইভেটকারকে থামার সংকেত দিলে না থামিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে মো.আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আনোয়ারের স্বীকারোক্তি মতে তার হেফাজতে থাকা প্রাইভেটকারের সাইলেন্সার পাইপের ভিতর থেকে ১৭২টি বায়ুরোধক পলিজিপার প্যাকেট থেকে ৩২ হাজার ৬৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান মো. নূরুল আবছার।