কাল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদ আনন্দ উৎসব শুরু। এই আনন্দ উৎসব ভাগাভাগি করতে দুস্থদের পাশে পূজার কাপড়-চোপড়,মাছ,মুরগি, সবজি, শিক্ষাসামগ্রী ইত্যাদি নিয়ে পাশে দাঁড়ায় বিদ্যানন্দন। এবারও তার ব্যতয় ঘটেনি।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নগরীর রাজবাড়ি কনভেনশন হলে সাত টাকা প্রতীকি মূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, আটা, নারকেল,গুড়, মাছ, মুরগি, সবজি, বাচ্চাদের শিক্ষা সামগ্রীস শাড়ি, লুঙ্গি, প্ঞ্জাবি কিংবা বাচ্চাদের জামা কাপড় ইত্যাদির পসরা সাজিয়েছে বিদ্যানন্দ। এ বাজার থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের দুস্থ পরিবারদের জন্যও কেনাকাটারও সৃযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী শারদ আনন্দ উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। এ সময় সিএমপি দক্ষিণের উপ পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও বিদ্যানন্দের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সব মিলিয়ে প্রতিটি পরিবার সাধারণ বাজার মূল্যে প্রায় দেড় হাজার টাকা সমমূল্যের পণ্য পেয়েছে।
বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুস্থদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নগরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় জরিপ করে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোকে টোকেন দেওয়া হয়েছে। টোকেন দেখিয়ে পরিবারগুলো এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি এ আয়োজন অন্যান্য ধর্মের সুবিধাবঞ্চিত পরিবারও অংশ নিচ্ছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালের পর চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশ বিদেশে ভিন্নতর ও অভিনব সব আইডিয়া নিয়ে সেবামূলক কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদ্যানন্দ। বিশেষ করে করোনাকালীন কেউ যখন ভয়ে ঘর থেকে বের হয়নি তখন জীবনবাজি রেখে করোনা মহামারি মোকাবেলায় সম্মুখসমরে থেকে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে নেয় এই প্রতিষ্ঠান।
সমাজসেবায় তাদের অসামান্য সব অবদানের জন্য ২০২৩ সালে সরকার তাদের একুশে পদকে ভূষিত করে।
এছাড়াও ২০২২ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় মানবকল্যাণ পদক ও ২০২১ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক ‘কমনওয়েলথ পয়েন্টস অব লাইট’ পদকে ভূষিত হয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।