ঘুর্ণিঝড় ‘হামুন’র দুই ঘন্টার তাণ্ডবে পুরো কক্সবাজার লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বাতাসের যে গতি তা বিগত দশ বছরেও দেখা যায়নি। প্রবল বাতাসের কারণে সড়কের আশপাশে থাকা বহু গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে ঘর বাড়ির। বিচ্ছন্ন রয়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। সড়কে গাছ পড়ে থাকায় কক্সবাজারের সংগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হামুনের তাণ্ডবে তিন জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজারে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু হয়। তা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়।
বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে বাতাসের তীব্রতা ছিল খুব বেশি।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ঘরের দেয়ার চাপায় আব্দুল খালেক, চকরিয়ার বদরখালীতে গাছ চাপায় আসকর আলী (৫০) ও মহেশখালীতে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত বাকি দুইজনের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অন্যদিকে বাতাসের তোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কক্সবাজার শহরের বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফ উদ্দিন জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে বাংলাবাজার ও খরুলিয়া এলাকায় সড়কের ওপর বড় বড় দুটি গাছ ভেঙে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শত শত গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়েছে।
তিনি বলেন, এবারের বাতাস যে গতি তা গত ১০ বছরেও আমরা দেখিনি হয়নি। গত বছর ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হেনেছিল তখন জলোচ্ছ্বাস হলেও বাতাসের তীব্রতা এবারের মতো ছিল না।