স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে যান চলাচল বেড়েছে। একদিনে পাঁচ হাজার ৪২৯ টি গাড়ি চলাচল করেছে। আদায় হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩শ টাকার টোল।
৩০ অক্টোবর সোমবার বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা জানান, প্রতি ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ২২৬টি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া দ্বিতীয় দিনে প্রথম দু’ঘণ্টায় সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬০টি গাড়ি থেকে ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টানেলে গাড়ির চাপ বাড়ছে ।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু টানেল। টানেল পার হতে ৪ হাজার ২০০ টাকা টোল দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে মোট ২১টি গাড়ি ছিল। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরের বাকি ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দেন। রোববার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় টানেল।
রবিবার ভোর পাঁচটা, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আউটার লিংক রোড সড়কে গাড়ির বহর। এটি কোনো অনুষ্ঠানের বহর নয়, এই গাড়ি বহর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামে আনোয়ারা প্রান্তে পাড়ি দেওয়ার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র মুখে অপেক্ষমান।
প্রাইভেটকার থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাসও সাতসকালে ভিড় জমিয়েছে। বাসে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে আবার প্রাইভেটকারের সামনে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে এসেছেন দইজ্যার তলদি এপার-ওপার যেতে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পর এখন বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে পারাপারের আকাঙ্খা সকলের। পতেঙ্গা সৈকতে আশা দর্শনার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকেও টানেলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছে পর্যটকরা। আশা করা হচ্ছে পদ্মা সেতুর মতো এই টানেল থেকে ব্যাপক রাজস্ব আদায় করবে সরকার।
অনেকে বলেছেন, এক সময়ের স্বপ্ন এখন সত্যিতে পরিণত হয়েছে। আর এই সত্যিটা উপলব্ধি করতে খুব ভোরে টানেলের দুয়ারে আসা। প্রথম টোল দিয়ে ইতিহাসে সাক্ষী হব নিজে, নয়ন ভরে দেখবো আমাদের টানেল। ভাবতে অবাগ লাগে, এশিয়া মহাদেশে টানেল এখন শুধু বাংলাদেশে।