চট্টগ্রাম বন্দরে জারি করা হয়েছে অ্যালার্ট-৩। পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি । খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
১৭ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জরুরি বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করারা খবরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান জানান, জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্দরের বিশেষ সর্তকতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। জেটিতে বন্ধ রয়েছে পণ্য হ্যান্ডলিং কার্যক্রম। হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাকিং করে রাখা হচ্ছে। বন্দরের বিভিন্ন জেটি থেকে ১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘এ’ ক্যাটাগরির এই ঘূর্ণিঝড়। এখন এর গতিবেগ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।
‘মিধিলি’ নামকরণ করেছে মালদ্বীপ। যার অর্থ ‘ফলপ্রসু বিষয়’। তালিকা অনুযায়ী, মিধিলি’র পরের নামটি মায়ানমারের ‘মিগজাউম’। এরপর আসবে ওমানের ‘রেমাল’। তারপর আসবে পাকিস্তানের ‘আসনা’।