বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনের হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আটক আছেন মির্জা ফখরুল।
২০ নভেম্বর, সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের আবদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের শুনানির তারিখ ২২ নভেম্বর ধার্য করেন। এদিন দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এজলাসে বসেন বিচারক।
আদালত সুত্র জানায়, আজকে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় বিচারকের কাছে এ সপ্তাহের মধ্যে শুনানির তারিখ চান মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। কিন্তু বিচারক পরে তারিখ নির্ধারণ করতে চান। তবে বিএপপিনন্থি আইনজীবীরা এজলাসেই পরবর্তী শুনানির তারিখ দিতে অনুরোধ করেন। এরপর আদালত তারিখ না দিয়েই অন্য মামলা শুনানি করতে চাইলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ডায়াসে দাঁড়িয়ে তখনই শুনানির তারিখ চান।
একপর্যায়ে তাদের চাপের মুখে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ১০ মিনিটের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে শুনানির তারিখ জানাতে বলে এজলাস ছাড়েন বিচারক। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বিচারক পুনরায় এজলাসে বসে শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করে দেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত বিএনপি মহাসচিবের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে জামিন আবেদন করা হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সে সময় তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের বাসায় এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।