কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা আজই ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
যদিও চুক্তির ব্যাপারে এখনও কোন নিশ্চয়তা দেয়নি ইসরায়েল, তবে এই চুক্তিতে সবুজ সংকেত তথা সমঝোতা করতে সম্মত হয়েছে দেশটি এমনটাই জানা গেছে।
সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক জানিয়েছেন যে, দুই পক্ষ সম্মত হলে এই চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি, গাজার সমস্ত এলাকায় ত্রাণবাহী ট্রাকের ব্যবস্থা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নারী ও শিশুদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তি বা বন্দীদের বিনিময় চুক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আল-রিশক আরও জানান যে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই চুক্তির আলোচনা চলছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্থবির হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া ফিলিস্তিনের সমস্ত প্রতিরোধ বাহিনীও ফোন কলের মাধ্যমে এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, দেশটির যুদ্ধ সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা রবিবার জিম্মি মুক্তির আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে এবং কাতারকে বার্তা পাঠিয়েছে যে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদেল হামিদ সিয়াম জানিয়েছেন যে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে কিছু বিষয়ে একমত হওয়া দরকার তা হল বিরতির সময়, গাজায় মানবিক সাহায্যের পরিমাণ, বিশেষ করে জ্বালানি এবং মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের সংখ্যা।”
সিয়াম আরও বলেন, প্রত্যাশিত এই যুদ্ধবিরতি ৩-৫ দিনের মধ্যে হতে পারে। তবে ফিলিস্তিনিরা পাঁচ দিনের জন্য জোর দিচ্ছে, কারণ তারা সত্যিকারের শ্বাস নেওয়ার জায়গা চায়।”
এর আগে হামাস কর্মকর্তারা ইসরায়েলের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন হামাসের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।