উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩০ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে হামাস। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির আগে এমন হামলার ঘটনা ঘটল।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত আবু হুসেইন স্কুলে হামলায় ২৭ জনের প্রাণ গেছে। গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতা ও তীব্র বোমাবর্ষণ থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল ছিল এটি।
ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও নতুন করে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালটির প্রধান প্রবেশপথ এবং বিদ্যুৎ জেনারেটর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, হাসপাতালটি তীব্র বোমা হামলার শিকার হয়েছে এবং ভবনের বড় অংশগুলো লক্ষ্য করে হামরা চালানো হচ্ছে। ২০০-এর বেশি রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি বর্তমানে বেইট লাহিয়ার হাসপাতালে আছে।
এদিকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের শেখ নাসের পাড়ায়ও আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। তারা আরো জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার শেখ রাদওয়ান পাড়ায় একটি আবাসিক বাড়িতে হামলা চালালে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়। ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফুয়াদ এডেলিকে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে।
এই ঘটনার পর ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৯ জনে, যাদের মধ্যে ৫২ জন শিশু। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলায় গাজায় ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২০০।