এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে, যে ফল জানার অপেক্ষায় আছে সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি রোববার সকালে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন।
এবার কত শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, সে তথ্য ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়নি। দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
মহামারীর কারণে ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। শিক্ষাসূচি ভেঙে পড়ায় ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
মহামারীর সঙ্গে বন্যার ধাক্কায় ২০২২ সালে পরীক্ষা আরও পিছিয়ে নভেম্বরে শুরু হয়। সেই পরীক্ষার ফল দেওয়া হয় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া সেই পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।
চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ অগাস্ট, শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে ২৭ অগাস্ট শুরু হয়।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ নম্বরে।
সবগুলো বোর্ডে একই দিনে পরীক্ষা শুরু না হলেও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন; এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন; যাদের মধ্যে বিজ্ঞানের ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২ জন, মানবিকের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২ লাখ ১২ হাজার ২০৬ জন।
এছাড়া মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ৩১ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।