কিশোরগঞ্জ-৩ নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের পর এবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে আটকাতে চান নৌকার প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। বাছাইয়ে এ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে আর নাসিরুলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয় হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ায়।
০৮ ডিসেম্বর, শুক্রবার নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন নাসিরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “বাছাইয়ে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। পরদিন ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আমার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছি। আজ ঋণখেলাপের অভিযোগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মজিবুল হক চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করলাম।”
আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, রূপালী ব্যাংক পুরানা পল্টন, কর্পোরেট শাখা থেকে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টার মো. মজিবুল হক দীর্ঘদিন খেলাপি আছেন। অতএব সে কিভাবে এমপি মনোনয়নের জন্য আবেদন করতে পারে। তার মনোনয়ন আইন মোতাবেক বাতিল যোগ্য,” বলা হয়েছে নাসিরুলের আবেদনে।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট গোপন করে মনোনয়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন চুন্নু, যার জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত হওয়া দরকার।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতির কাগজ দেখাতে না পারায়।