একদিনের ব্যবধানে একলাফে পেঁয়াজর কেজি ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। সকালে বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। পেঁয়াজ বিক্রেতাদের মুখে হাসি থাকলেও ক্রেতারা হতাশ। এক রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের এমন দরের হিসাব মেলাতে পারছে না ক্রেতারা। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় এক কেজির জায়গায় এখন কিনতে হচ্ছে একপোয়া পেয়াঁজ।
সরেজমিনে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দেখা গেছে আড়ৎ শূন্য পেঁয়াজ।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। আড়ৎদারেরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা রতন বলেন, গতকালও পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। এক রাতের ব্যবধানে আজ কিনতে হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা দরে। পেঁয়াজের হঠাৎ এমন দরের কারণে বাজার করতে এসে আমাদের হিসাব মিলছে না। মাঝখানে আলু- পেঁয়াজের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাজার মনিটরিংও বেড়েছিল। কিন্তু কয়েক দফা মনিটরিংয়ের পর আবার তা থেমে যায়। ক্রেতা সাধারণের সাধ্যের নাগালে পেঁয়াজ রাখতে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। ঘোষণামতে যদি পেঁয়াজ বাজারে ঢকতো তাহলে ২২০ টাকা দাম ছড়িয়ে যেতো না। তাছাড়া পত্রপত্রিকায় দেখেছি, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ গুদামজাতকরনের ফলে পেঁয়াজে চারা গজিয়েছে।
খুচরা বিক্রেতা কাদের বলেন, পেঁয়াজের অর্ডার দেওয়ার পরও পেঁয়াজ পাচ্ছি না। রসুন, আদা থাকলেও বিক্রির জন্য পেঁয়াজ নাই। গতকাল পর্যন্ত পেঁয়াজের চাহিদা বেশি ছিল।
এদিকে, নিজেদের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পণ্যটি রফতানির ওপর আগামী মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে। এই নির্দেশনা আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর থাকবে। রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজ রফতানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড।