আপিলের শেষ দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় কম নির্বাচন কমিশনে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে কেন্দ্রীয় বুথসহ অঞ্চলভেদে ১১১টি বুথে বসেছেন ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কুমিল্লা, সিলেট বুথে ২/১ জন করে প্রার্থীকে আসতে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায় কেন্দ্রীয় বুথে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে যথারীতি প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদন গ্রহণে কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বাতিল হওয়া ৭৩১ প্রার্থীর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৪৩১ জন। প্রথম দিনে আপিল আবেদন করেছিলেন ৪২ জন। দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিনে ১৫৫ ও সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার চতুর্থ দিনে ৯৩ জন আপিল করেছিলেন।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৭১৬টি। সারা দেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১৯৮৫ জন প্রার্থী, অবৈধ ঘোষণা করা হয় ৭৩১ জন প্রার্থীকে। অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের অধিকাংশের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার নেপথ্যে ছিল একভাগ ভোটারের সমর্থনজনিত সমস্যা।
তাদের মধ্য থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলে ১৭ জন, কুমিল্লার ১১ জন, চট্টগ্রামের ৯ জন, ফরিদপুরের ৫ জন, সিলেটের ৪ জন, ময়মনসিংহের ১৪ জন, বরিশালের ৪জন, খুলনার ১১ জন, রাজশাহীর ১৩ জন ও রংপুর অঞ্চলের ৫ জন প্রার্থী আপিল আবেদন করেছেন।
আজ শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।