একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
১১ ডিসেম্বর,সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এই তফসিলের বৈধতা নিয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ ২৯ নভেম্বর রিট করেন। রিটের ওপর ৩ ও ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংসদ বহাল রেখে আরেকটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ ধারার পরিপন্থী।
সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যের সাধারণ নির্বাচন হবে। সেহেতু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অসাংবিধানিক। সংসদ সদস্যরা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছেন। তাই পদটি লাভজনক পদ। দুর্নীতি দমন আইন এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদটি লাভজনক। তাই সংসদ ভেঙে না দিয়ে তফসিল ঘোষণা অসাংবিধানিক।