রান্না ঘর, জ্বলে চুলা কিন্তু ওই ঘরের মাটির নিচে ইয়াব ব্যাংক। সেই ব্যাংক থেকে বের হলো ২২ হাজার ইয়াবা। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ায় জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাড়া এলাকায় মীর আহম্মদের বাড়ির ছালামত উল্লাহ প্রকাশ বাসুর রান্না ঘরের মাটির নিচ থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে র্যাব -১৫। এঘটনায় একই এলাকার আজিজুল হকের পুত্র সাইদুল হক রুবেল (৩৮) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে।
১২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোনাপাড়া এলাকায় মীর আহম্মদের বাড়ির ছালামত উল্লাহ প্রকাশ বাসুর ঘরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় জন্য অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ আসে র্যাবের কাছে। খবর পেয়ে র্যাব-১৫ এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল ওই স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে সাইদুল হক রুবেল (৩৮) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সাথে থাকা আরও তিন সহযোগীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তারা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায়।
তিরি আরও বলেন, রুবেলের দেওয়া তথ্যে রান্নাঘরের মাঝখানে মাটির নিচে প্লাষ্টিকের পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২২ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। সাইদুল হক রুবেল এবং পলাতক মাদক কারবারিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ পথে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে এবং অভিনব নিত্য নতুন পন্থায় নিজের বসতঘরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে মজুদ করতো। পরবর্তী পরষ্পর পরস্পরের সহায়তায় খুবই চতুরতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।