Google search engine

৪৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট হরিলুট, চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

কোনো প্রজক্ট আসলে তা বাস্তাবায়নের জন্য অর্থাৎ কাজ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু এই দরপত্র ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার পেছনে কারা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে জাইকা কর্তৃক ২০১৯ সালে ৪৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট আসে। তখন দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি টিকাদার প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির কলকাঠিতে ওই পাঁচ ঠিকাদারের কাগজপত্র বাতিল করে এক বছর পর অর্থাৎ ২০২০ সালে পুনরায় রিটেন্ডার (দরপত্র) ডেকেছিল চসিক।

জানা গেছে, ওই রিটেন্ডারে ছয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠান লয়েস্ট হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র চসিকে জমা থাকলেও বাকিদের কাগজপত্রের হদিস নেই। কি কারণে তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তার কোনো কাগজও চসিকের কাছে নেই। যদিও চসিকের ভাষ্য, তখন ই-জিপিতে টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু তাদের ভাষ্যমতে ই-পিতেও কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের টেন্ডারে এমন অনিয়মের অভিযোগে চসিক প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচলানা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। বেরিয়ে আসতে থাকে অজানা অনেক তথ্য। অনিয়ম, অজানা তথ্য বেরিয়ে আসলেও আড়ালেই থেকে গেলেন কলকাঠি নাড়া অদৃশ্য ব্যক্তি বা শক্তি।

১৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম দুদকের সহকারি পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ঝুলন কুমার দাশের সাথে বেশ কিছু সময় কথা বলে দলটি। পরে দলটি চসিকের আরও কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এনামুল হক বলেন, অভিযানে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নথিপত্রে দেখা গেছে অসামঞ্জস্য। এমনকি ২০১৯ সালে যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, সেটার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় দরপত্রে কারা সবোর্চ্চ দরদাতা ছিল সেটার কোনো কাগজপত্র নেই।

দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘যে অসাঞ্জস্যতা দেখা গেছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর একটি প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।’

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ