উসকানিমূলক বক্তব্য, জনসংযোগ, ভেঅট চেয়ে মিছিল ইত্যাদি বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোতাহেরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। এসব কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে মোতাহেরুল ইসলামকে তলব করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচানি অনুসন্ধানি কমিটি। মোতাহেরুল ইসলামকে আগামী রবিবার বেলা ২টার মধ্যে চট্টগ্রামের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ শেখ মো. মুহিবুল্লাহর সই করা এক চিঠিতে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মোতাহেরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ- গত ১, ৯ এবং ১৩ ডিসেম্বর সভা, জনসংযোগ ও মিছিল করে ভোট চেয়ে তিনি প্রচার চালিয়েছেন। ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেছেন এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়েও।
মোতাহেরুলকে তলব করে পাঠানো অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর পটিয়া কোলাগাঁও ইউনিয়নের শহর মসজিদে জুমার নামাজ ও মাজার জিয়ারত শেষ করে নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে নামেন মোতাহেরুল এবং সে সময় তিনি জনসংযোগ চালান।
এরপর ৯ ডিসেম্বর উপজেলার শোভনদণ্ডী ও কচুয়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুটি বর্ধিত সভায় তাহেরুল নির্বাচনি প্রচারমূলক বক্তব্য রেখেছেন। এই সভায় এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ‘ব্যক্তিগত চরিত্র হরণ করে উসকানিমূলক বক্তব্য’ রেখেছেন তিনি। এই অভিযোগ এনে তাহমিনা নাসরিন চৌধুরী নামের এক নারী গত ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে মোতাহেরুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে পটিয়া আদালত চত্বরে হাইদগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ব্যানারে মোতাহেরুলের সমর্থনে ভোট চেয়ে মিছিল বের করা হয় বলে অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ” অনুসন্ধান কমিটি এসব ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করেছে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৫, ১১(ক) ও ১২ এর লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছে।”
তাই আগামী রোববার মোতাহেরুল চৌধুরীকে দুপুর ২টায় স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মো. মুহিবুল্লাহ।
এর আগে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পতাকাবাহী গাড়ি ব্যবহার ও পুলিশ প্রহরা নেওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শোকজ করা হয় চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীকে। তলব পেয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে ওই ঘটনার জন্য ‘অনুতপ্ত’ এবং ‘ভবিষ্যতে আর এ ধরণের ভুল হবে না’ মর্মে জানান সামশুল।
অন্যদিকে পটিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশমন সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে তাকে বদলির আবেদনও করেছিলেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। ওই আবেদনের কয়েকদিন পর ওসি মো. নেজাম উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এবার তিনবারের সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সেখানে এবার নৌকার প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পটিয়া উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।