সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট সাগর উপকূলে অবস্থিত কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙে শিপইয়ার্ডে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিংয়ের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মোঃ আবুল কাসেম প্রকাশ রাজা কাশেমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের নামে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট সাগর উপকূলের উত্তর সলিমপুর মৌজার বিএস দাগ ১ এর ৫ একর সমুদ্র সিকস্তি ভূমি দখল ও উপকূলীয় বনে গাছ কেটে কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড স্থাপন করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২১ মে তাদের ইজারা বাতিল ও স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সিলগালা করা হয়েছিলো। রাজা কাশেম স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘন করে সিলগালা ভেঙে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে ।
১৮ ডিসেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন। এসময় একজন ম্যানেজারসহ ৫ জনকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরা হলেন, উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের উত্তর সলিমপুর গ্রামের মৃত ফারুক আহমেদের পুত্র মোঃ হানিফ, একই এলাকার বাসিন্দা গুরা বাঁশি দাশের পুত্র কাঞ্চন দাশ, মৃত নুর হোসেনের পুত্র হাসান আলী, মৃত ইউসুফের পুত্র মোঃ নাছির, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের মৃত শামছুল আলমের পুত্র পারভেজ আলম।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগালা ভেঙ্গে কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কার্যক্রম চলছে পাওয়া খবরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ম্যানেজারসহ ৫জনকে গ্রেফতার করে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানা ও ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা অভিযান পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন।