পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে মহাসড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। চীনের হুয়াও প্রতিষ্টানের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই সিসি ক্যামেরা যেকোনো ধরণের অপরাধ শনাক্ত করেবে। একই সাথে কন্টোলরুমে সাথে সাথে সংকেত পাঠাতে পারবে। এছাড়াও মহসড়কে গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ক্যামেরা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে দুর্ঘটনা, ছিনতাই. ডাকাতি ইত্যাদিতে দোষিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে এই ক্যামেরার মাধ্যমে। ইতোমধ্যে ১১০০ টিরও বেশি ক্যামেরা স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। সীতাকুণ্ড অংশে এর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
স্থানীয়রা বলছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায়ই ছিনতাই ও নাশকতার ঘটনা ঘটে। এসব ক্যামেরা লাগানোর পর অপরাধের মাত্রা কমে যাবে।
জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতেই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এর কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের জুনে। ক্যামেরাগুলো চীনের হুয়াও প্রতিষ্ঠানের তৈরি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব ক্যামেরা যেকোনো ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে এবং কন্ট্রোলরুমে তাৎক্ষণিক সতর্ক সংকেত পাঠাতে সক্ষম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আড়াইশো কিলোমিটার এলাকায় ৪৯০ টি পোলের মাধ্যমে ১ হাজার ৪২৭টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১শো’টির বেশি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এসব ক্যামেরার কন্ট্রোল স্টেশন থাকবে হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরে। এছাড়া আরও চারটি সাব স্টেশনও বসানো হবে।
চালক শ্রমিকরা বলছেন, মহাসড়কে ক্যামেরা স্থাপনের ফলে যানবাহন থেকে পণ্য চুরি, ডাকাতি ও নাশকতা কমবে। এ বিষয়ে এক চালক বলেন, গাড়ি থেকে পণ্য চুরি বা ছিনতাই হলে সহজেই প্রশাসনের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বাড়বে।
হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, অত্যাধুনিক এসব ক্যামেরা স্থাপনের ফলে মহাসড়কে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও সহজ হবে।