দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ৭টি আসনে সাত নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বাবার আসনে নির্বাচিত হয়েছেন ছেলে। এছাড়াও রয়েছেন নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থামিয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী। রয়েছেন একচান্সে বাজিমাত প্রার্থীও।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসন। এর মধ্যে ৭ আসনে নতুন মাঝি ছাড়াও কোনো কোনো আসনে হ্যাট্রিক প্রর্থিরাও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১ মীরসরাইয়ে বাবার আসনে নির্বাচিত হয়েছে মাহবুব উর রহমান রুহেল। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের পুত্র। অপরদিকে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড ও নগর আংশিক আসনে চেয়ারম্যান থেকে এমপি প্রার্থী হয়ে একচান্সে বাজিমাত হয়েছেন এস এম আল মামুন।
কেন্দ্র থেকে নৌকা ঘাটে বেঁধে রেখে একতারা বাজানোর নির্দেশনায় থেমে থাকা চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে চমক দেখিয়েছেন নৌকার নতুন মাঝি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। নির্বাচনি প্রচারণার মাঝখানে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিতে পারেনি তাঁর অনুসারিরা। তাদের অসন্তোষের কারণে ফের সনিকে মাঠে প্রচারণা করতে গ্রীণ সিগন্যাল দেয়।
চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে হ্যাট্রিক সংসদ সদস্যকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৫ লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীকে হারিয়ে নতুন মুখ আবদুল মোতালেব নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে নৌকার আরেক হেভিয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে চট্টগ্রাম-৬ বাঁশখালী আসনে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবুর রহমান।
রবিবার সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে থেকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জয়ী প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। নগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট ৬ আসনের রিটার্নিং অফিসার ও বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম জিমনেসিয়াম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্খুশ বিজয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে চীন, রাশিয়া ও ভারত। অপরদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রিসভা গঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এছাড়াও ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।