Google search engine

নিজের নির্বাচনী পোস্টার নিজেই নামালেন এমপি রুহেল

ভোটে ঢাকা ছিল প্রার্থীদের পোস্টারে। ভোট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা নগরজুড়ে সাঁটানো বিভিন্ন প্রার্থীদের পোস্টার সরানোর কাজ করছে। এবার প্রার্থীদের পোস্টার ছিল নিষিদ্ধ পলিথিন মোড়ানো। যদিও নিষিদ্ধ এই পলেথিন বিক্রি বন্ধে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় ভ্রামা্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে জরিমামা আদায়ের পরও কমেনি এই অপনশীল পলিথিনের দাপট। নির্বাচনে প্রার্থীদের পলিথিন মোড়ানো পোস্টারের হিড়িকে যেন ‘নিষিদ্ধ’ শব্দটি লাটে উঠেছে। কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থীরা পলিথিন মোড়ানো পোস্টার ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।

তবে নিজ দায়িত্বে পছন্দের প্রার্থীর পোস্টার যারা সাঁটিয়েছিলেন, ভোটের পর ওই পোস্টার সরানো কিংবা নামানোর খবরটুকু কেউ রাখেননি, আবার এমপি নির্বাচিত হয়েও নিজের পোস্টার নিজেই নামিয়েছেন; বলছিলাম সাংসদ পুত্র সদ্য নির্বাচিত এমপি মাহবুব উর রহমান রুহেল এর কথা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বিজয়ী হন রুহেল। তারঁ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নিজ এলাকা উপজেলার ধুম ইউনিয়নে কয়েকজন কর্মী নিয়ে টাঙ্গানো পোস্টারগুলো অপসারণ করেন।

মাহবুব উর রহমান রুহেল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্টার অপসারণের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সবাইকে বিজয়ের অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আমার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টারে কোনো প্রকার লেমিনেশন কিংবা প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়নি। তবে কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য কিছু কিছু নেতাকর্মী প্লাস্টিক কভারযুক্ত পোস্টার ব্যবহার করেছেন। এ ধরনের পোস্টার যতগুলো আমার নজরে এসেছে তা অপসারণ করেছি, করিয়েছি।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমার নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, যেসব স্থানে প্লাস্টিকযুক্ত পোস্টার রয়েছে তা যেন দ্রুত অপসারণ করা হয়। অন্য প্রার্থীদেরও এই অনুরোধ জানাই। সবাই মিলে আমরা একটা উদাহরণ তৈরি করতে চাই। স্মার্ট মিরসরাইয়ের যাত্রা শুরু হোক এভাবেই।’

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ