Google search engine

বৃষ্টির আভাস

পৌষের শেষে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গত কয়েকদিন ধরেই কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে কোথাও কোথাও সারাদিনেও মিলছে না সূর্যের দেখা। কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে। তবে শীতের তীব্রতার মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আসতে পারে বৃষ্টি, এমনটাই আভাস দিয়েছেন একজন আবহাওয়াবিদ।

১৩ জানুয়ারি শনিবার আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, “১৮-১৯ জানুয়ারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এছাড়া নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এসময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয় পূর্বাভাসে।

ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

ওমর ফারুক বলেন, “আরো দুয়েকদিন কুয়াশা থাকবে তারপর কমবে। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়বে।”

তবে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ